বজ্রপাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক নারী সহ নয় কৃষি শ্রমিকের নিহত হবার খবর পেয়ে আমি খুবই মর্মাহত। আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আমি উল্লাপাড়ায় পেশাগত কাজে অনেকবার গিয়েছি। এখানকার মানুষের সাথে আমার রয়েছে এক আত্মিক সম্পর্ক। আমি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য প্রার্থনা করছি।
এই কৃষি শ্রমিকরা খুবই অসহায়। তাদের পরিবারের কি হবে তাই ভাবছি। তাদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতার জন্য জোর আহবান করছি। কৃষি মন্ত্রাণালয় নিশ্চয় এই পরিবারগুলোর জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। ব্যক্তিখাতও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সহয়োগিতা করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে এবং ব্যাংকগুলোর সিএসআর তহবিল থেকে এই বিপর্যস্ত মানুষগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে পারে। রানা প্লাজা বিপর্যয়ের সময় তারা যথেষ্ট করেছিল।
বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। কেন এমনটি হচ্ছে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা নিশ্চয় বিজ্ঞানিরা খোঁজার চেষ্টা করতে পারে। ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয়ের শিকার যারা হবেন তাদের জন্য একটি আপতকালিন তহবিল কি সরকার করতে পারেন না? অথবা কোনো বীমা? কি করলে এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেই সামিজিক সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠকর্মীদের সক্রিয় হবার জন্য আহবান জানাচ্ছি। এজন্য তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেবার জন্য সংশ্লিষ্টজনদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আবারও নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমানের ফেসবুক থেকে