Severity: Notice
Message: Undefined variable: repo
Filename: fontend/detail.php
Line Number: 83
Backtrace:
File: /home/deshkhob/public_html/application/views/fontend/detail.php
Line: 83
Function: _error_handler
File: /home/deshkhob/public_html/application/controllers/Front_side_news.php
Line: 153
Function: view
File: /home/deshkhob/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once
Severity: Notice
Message: Trying to get property of non-object
Filename: fontend/detail.php
Line Number: 83
Backtrace:
File: /home/deshkhob/public_html/application/views/fontend/detail.php
Line: 83
Function: _error_handler
File: /home/deshkhob/public_html/application/controllers/Front_side_news.php
Line: 153
Function: view
File: /home/deshkhob/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once
Severity: Notice
Message: Undefined variable: repo
Filename: fontend/detail.php
Line Number: 83
Backtrace:
File: /home/deshkhob/public_html/application/views/fontend/detail.php
Line: 83
Function: _error_handler
File: /home/deshkhob/public_html/application/controllers/Front_side_news.php
Line: 153
Function: view
File: /home/deshkhob/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once
Severity: Notice
Message: Trying to get property of non-object
Filename: fontend/detail.php
Line Number: 83
Backtrace:
File: /home/deshkhob/public_html/application/views/fontend/detail.php
Line: 83
Function: _error_handler
File: /home/deshkhob/public_html/application/controllers/Front_side_news.php
Line: 153
Function: view
File: /home/deshkhob/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬৭ টাকার কাজে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ইস্কান্দার মির্জা ও শামীমের বিরুদ্ধে। সওজের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অতি নিম্নমানের কাজ করে যাচ্ছে এ ঠিকাদার।
জানা গেছে, শহর সংযোগ বাজারের দুই পাশে ৬ ফুট করে ১২ ফুট ড্রেন নির্মাণে স্থানে ৩ ফুট করে ৬ ফুটের কাজ চলমান রেখেছে সড়ক বিভাগ। ইলিশ চত্বর থেকে চিটি হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। আঁকাবাঁকা করে ড্রেন নির্মাণের স্বজনপ্রীতি করারও অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
লক্ষ্মীপুরে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের ভিডিও
রাস্তা প্রশস্তকরণের ৮০% পাথর ২০% বালু ধরা থাকলেও ৬০% পাথর ৪০% বালু দিয়ে মেকাডম তৈরি করা হচ্ছে। পাথর এবং বালু দিয়ে সাবগ্রেড তৈরির ৪৫ দিন শেষ না হইতে ৮ দিনের মাথায় তড়িগড়ি করে রাতের আঁধারে প্রাইম কোট দিয়ে ৪৮ ঘন্টা না যেতে ৭ ঘন্টার মাথায় কার্পিটিংয়ের কাজ শুরু করে ঠিকাদার শামীম। তবে সাবগ্রেড ১২ ইঞ্চি ধরা থাকলেও তা না করার অভিযোগ স্থানীয়দের।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার মাগরিব নামাজের সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে আসেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্পিটিং করার কথা ৫.২ ইঞ্চি সেখানে করেছে ৩-৪ ইঞ্চি। রাস্তা প্রশস্ত করার কথা ছিলো ৩৬ ফুট, সেখানে কোথাও করা হচ্ছে ৩১ কোথাও ৩২, ৩৩ সর্বোচ্চ ৩৫ ফুট।
সড়ক জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে রাস্তার উপরে ড্রেন নির্মাণ করারও অভিযোগ রয়েছে। ড্রেনের ভিতরে বিদ্যুৎতের খুঁটি রেখে কাজ চলমান রেখেছে। এতে ড্রেনের ভিতর দিয়ে পানি চলাচলের বাঁধাগ্রস্ত হবে।
নতুন ড্রেন নির্মাণ না করে পুরাতন ড্রেনের ২০ ফুটের মত নতুন ড্রেনের সংযোজন করে দেয়ার অভিযোগ করেন তমিজ উদদীন বাড়ীর স্থানীয় বাসিন্দারা।
আব্দুল রহমান নামে এক ট্রাক ড্রাইভার বলেন, চসার ড্রেন ,গাইড ওয়াল ড্রেন,গাইড পোস্ট নির্মাণে নিম্মমানের ইটের কণা-বালু দিয়ে কাজ শেষ করে ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগ।
লক্ষ্মীপুর ইলিশ চত্তর থেকে রামগতি ষ্টেশনের মনামাষ্টার দরজা পর্যন্ত নয় ছয় করে নির্মাণ কাজটি শেষ করে ঠিকাদার শামীম। নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় প্রকল্পের বোর্ড ব্যবহার করা হয়নি। পথচারী ও যানবাহন চলাচলের নির্মাণ কাজ চলছে নিরাপত্তাজনিত সিগনাল র্বোডও চোখে পড়েনি ।
লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ দক্ষিন তেমুহনী থেকে উত্তর তেমুহনী ও ঝুমুর এলাকায় ইলিশ চত্তর থেকে রামগতি ষ্টেশনের মনামাষ্টার এলাকায় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করনের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। যার বরাদ্দ ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। প্রকল্পের নাম লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক। প্রকল্পের নির্মাণ কাজটি পেয়েছেন এম এম বিল্ডার্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড- মেসার্স সালেহ আহমেদ জেবি থেকে নির্মাণ কাজটি কিনে নেয় ইস্কান্দর মির্জা শামীম।
২০২১ সালে নির্মাণ কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও ৩ বারে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। ২০২৪ সালেও এ সময় পর্যন্ত নির্মাণ কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারেনি ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগ।
এদিকে ভূমি অধিগ্রহণে স্বজনপ্রীতি করার অভিযোগ রয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিনে বিরুদ্ধে। বাজারের একাধিক স্থানে জেলা প্রশাসন কর্তৃক লাল দাগ দেওয়া চিহ্নিত অনেক স্থান উচ্ছেদ করেনি সড়ক বিভাগ।
অপর দিকে রবিবার ঠিকাদারী ইসকান্দার মির্জা শামীম বলেন, লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়কটির যে নির্মাণ কাজটি চলমান রয়েছে, আমি আমার লোকজনকে নির্দেশ দিয়েছি নির্মাণ কাজটি বন্ধ রাখার জন্য। ১০% লেস দিয়ে প্রকল্পটি আমি নিয়েছি, নির্মাণ কাজ নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।
সহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন নির্মাণ কাজের তদারকি করার কথা থাকলেও প্রাইম কোট দেয়ার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না ।
লক্ষ্মীপুর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রাইম কোট দেয়ার ৪৮ ঘন্টা পর কার্পিটিং করার কথা! কিন্তু ঠিকাদার যদি না করে থাকে তাহলে কাজটি করা সঠিক হয়নি।
এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণ কাজটি কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। বেশি চাপাচাপি করলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজটি অসমাপ্ত রেখে পালিয়ে যাবে। জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজটি শেষ করতে হবে।
এ বিষয়ে লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, সিডিউল অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ আদায় করে নিবো।