আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টায় খুলে দেওয়া হয় বইমেলা। মেলা প্রাঙ্গণে লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে সকাল থেকেই। মেলাপ্রাঙ্গণ জমজমাট হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবে স্টলগুলোতে যাওয়ার উপায় নেই। বেড়েছে বেচা-বিক্রি। পছন্দের বই কিনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে লাইনে। বিক্রেতাদের পানি খাওয়ার সময়টুকুও দিচ্ছেন না পাঠকরা। এক মিনিটের অবসর নেই তাদের।
কয়েকজন প্রকাশক জানান, এবার মেলায় জনসমাগম বেশ ভালো। বইপ্রেমীরা আসছেন, বই দেখছেন। সংখ্যায় কম হলেও বই কিনছেন অনেকেই। স্টল মালিকরা বলছেন, গত মেলায় তেমন একটা বেচাবিক্রি ছিল না। তবে এবার শুরু থেকেই মেলায় ভীড় বাড়ছে। প্রথম ছুটির দিনে ভীড় বেড়েছে অনেক। স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছে মানুষ। পছন্দ হলেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বই। এভাবে চলতে থাকলে আশা করা যায় গত বছরের খতি কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে পারবো।
সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফটকের প্রবেশ মুখে বাড়তে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি। মেলায় আসা প্রত্যেকের মাস্ক পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করেই ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সুরক্ষা কর্মীরা। দুপুর গড়াতেই বইয়ের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। কর্মব্যস্ত মানুষেরা ছুটে এসেছেন বইমেলায়। এদের মধ্যে কেউ এসেছেন একা, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে আর কেউ কেউ এসেছেন সবান্ধব। একাদিক দর্শনার্থী বলছেন, করোনার কারণে প্রথমে মেলায় আসা নিয়ে একটু শঙ্কিত ছিলাম। তবে এসে দেখলাম এখানে পরিবেশ সুন্দর এবং স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে। তারা প্রিয় লেখকের বইয়ের খোঁজে ঘুরছেন মেলা প্রাঙ্গণে।