শাকিল আহমেদ : মানব জীবনে বার্ধক্য আসাটা এক চরম সত্য। শৈশবের সোনালী অধ্যায়ের পাঠ চুকিয়ে, যৌবনের কন্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে মানবসত্তার জানালায় উঁকি দেয় বার্ধক্য। মানবজীবনের শেষ পরিণতি ঘটে এই বার্ধক্যে পদার্পণের মধ্যে দিয়ে। আর এটাই সৃষ্টি জগতের নিয়ম। বার্ধক্য একটি স্বাভাবিক অবশ্যম্ভামী জৈবিক বাস্তবতা, যা এড়িয়ে চলে নিজের যৌবনের স্থায়ীত্ব কামনা করার প্রচেষ্টা নিতান্তই ব্যর্থ প্রয়াস।
তবে একবিংশ শতাব্দীতে বার্ধক্য হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের নিকট বোঝা স্বরুপ। আজকাল বৃদ্ধ পিতা-মাতার জন্য খোলা হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম। নিজ সন্তান যখন প্রত্যাশা করে না তারে দাম্পত্ব জীবনে পিতা-মাতা থাকুক তখন তারে শেষ আশ্রয়স্থল হয় বৃদ্ধাশ্রম। ফলে শেষ বয়সে বয়স্ক পিতা-মাতার জন্য অপেক্ষা করে এক করুণ পরিণতি। এই সার্বিক বিষয় তুলে এনে একটি বইয়ের মধ্যে লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি কীভাবে বৃদ্ধা পিতামাতাকে ভালোবাসা ও সম্মান করা উচিত সে বিষয়ে লিখেছেন মিরপুর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব শবনম জাহান।
বইটিতে স্থান পেয়েছে কীভাবে বৃদ্ধ পিতামাতাকে ভালোবাসা উচিত।একই সঙ্গে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে সন্তানদের শৈশব থেকে কীভাবে গড়ে তোলা উচিত এছাড়াও বাবা ও মায়ের কি কি করনীয় সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে তার সুস্পষ্ট ভূমিকা দিয়েছেন তিনি।বইটি পাওয়া যাবে অমর একুশে বইমেলার তৃনলতা প্রকাশনীর ৩৪৬-৪৪৭ নং স্টলে। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার ‘বার্ধক্য যাপন নয় হউক উদযাপন’ বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়।
তবে এ বিষয়ে বইটির লেখিকা জনাব শবনম জাহান বলেন,বইটি পাঠক প্রিয় হলে অবশ্যই জীবনঘনিষ্ঠ বিষয় নিয়ে আরো লিখার আছে।
তিনি আরো বলেন,প্রতিটি বাবা মা ই বার্ধক্যে পৌঁছাবে, তাই বৃদ্ধ বাবা মা কে যে যত বেশি সম্মান দিবে সে তার বিনিময়ে নিজ সন্তানের কাছে তা পাবে ই। অতএব আমাদের উচিত তাদের শ্রদ্ধা করার পাশাপাশি ভালোবাসা।