আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুর কালির চর তালতলা সিয়ারফুল খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে রিপন নামে এক ব্যক্তি। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের কালিরচর তালতলা নামক স্থানে সিয়ারফুল জলা নামে পরিচিতি।অথচ ভুমি অফিস সুত্রে জানায় যায় এটি সরকারি ১ নম্বর নথিভুক্ত খাল। এ খাল থেকে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা।

এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও পথচারীদের রাস্তাঘাট। বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ভবানীগঞ্জ বাজারের পশ্চিমে কালিরচর তালতলা এলাকার নিজাম মিয়ার জলা,সিয়ারফুল জলা নামে পরিচিতি মুলত সরকারি খাল থেকে দীর্ঘ এক বছর যাবত অবৈধ ড্রেজার মেশিন মালিক এরশাদ সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন করছেন । ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনে রাতে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত সরকারী খালের গভীর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
পানির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, বালু উত্তোলনে নিষেধ করায় উল্টো এলাকাবাসীকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
কালিরচর তালতলা গ্রামের খাল পাড়ের আশে পাশের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক, কয়েকজন কৃষক বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর করে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বাড়ি ঘর, খালের বাঁধ । বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য আমরা বেশ কয়েক বার বাধা দিয়েছি। কোনো কাজ হয়নি।
বালু উত্তোলনকারী রিপন বলেন, এটি সরকারি কোনো খাল নয়?সিয়ারফুল জলাটি ক্রয়কৃত সম্পত্তি।আমি আমার জলা থেকে বালু উত্তোলন করি এতে কারো কিছু যায় আসে না..
অপর দিকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন মালিক এরশাদ জানায়,বালু উত্তোলন করি সঠিক কিন্ত বিভিন্ন সাংবাদিক স্থানীয় দালাল চক্রকে ৪% করে দিতে হয়।
প্রতি ফুট বালু ১২ টাকা করে উত্তোলন করে বিক্রয় করা হয়। আমাকে ফুট প্রতি ৫ টাকা করে দেয় জলার মালিক রিপন।বাকী ৭ টাকা করে জলার মালিক রিপন নিয়ে নেয়।আমার অপরাধ কি?
লক্ষ্মীপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুনুর রশিদ বলেন, বিষয়টি কেউ বলেনি। খোঁজ নিয়ে দেখার পর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।