লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা নির্বাচনের ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাহেদ আলী পটু ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলমগীর হোসেন,পৌর ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর উটপাখি প্রতীক প্রার্থী হাফিজ নোমান, সাবেক কমিশনার পাঞ্জাবির প্রতীক প্রার্থী আব্দুর রহিম ।

বাধ্যতামূলক নৌকায় ভোট দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া ও মারধরের অভিযোগে তারা ভোট বর্জন করেন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর, পুরুষ কাউন্সিলরদের ভোটে কোনো বাঁধা নেই। নৌকার এজেন্টেরা নিজেরদের ভোট নিজ হাতে প্রয়োগ করেন। তারা একের পর এক ভোট দিতে থাকেন। অপর দিকে পৌর ৬ নং ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রে দেখা যায় ইভিএম মেশিন গোপনীয়তা রক্ষা না করে ওপেনে নৌকার প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেন নৌকার এজেন্টরা।পর্দার বাইরে ইভিএম, নৌকায় ভোট বাধ্যতামূলক। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তারা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিএনপির প্রার্থী সাহেদ আলী অভিযোগ করে বলেন, “ইভিএম আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে। তারা ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন। প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং না দেখার বান করছেন। আমি এজন্য ভোট বর্জন করেছি।”
অপরদিকে
জাপা প্রার্থী আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে
ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মারধর করা হয়েছে। নৌকায় ভোট দিতে আ.লীগের নেতারা
ভোটারদের বাধ্য করছে। ইভিএম মেশিনে নৌকার ভোট তারা নিজেরাই নিজ হাতে প্রয়োগ
করেন।
এ নির্বাচনে থাকার প্রয়োজন নেই। আমি ভোট বর্জন করেছি।”
এ বিষয়ে রামগতি পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ভোট বর্জনের বিষয়টি আমি জানি না। কালো পর্দার বাইরে ইভিএম থাকার কথা নয়। কোথাও ছিলো কিনা তা কেউ আমাকে জানায়নি। কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন,সুস্থ্য নির্বাচন হচ্ছে, ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক, ধানের শীর্ষ এজেন্টদের বের করে দেয়া বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জনের কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি। ইভিএম মেশিন পদ্দার বাহিরে ওপেন করে ভোট প্রয়োগের বিষয়ে এমন অভিযোগও কেউ করেনি।