অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড একাউন্টে সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেছেন তিনি।
শফিকুল আলম জানান, ২০০০ সালের দিকে আমার বাবা ঢাকা শহরের নিম্নমধ্যবিত্ত এলাকা দনিয়ায় পাঁচতলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন নির্মাণ করেন। সেই ভবনের ১,১৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। ২০১০ সালে দনিয়া ছেড়ে চলে আসলেও এখনো সেই ফ্ল্যাট আমার মালিকানায় আছে। একসময় ভাইয়ের কাছে সেটি বিক্রি করার কথা ভাবলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। জীবনের এক পর্যায়ে হয়ত আবার দনিয়ায় ফিরে যাব।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে শাহীনবাগে ১,১০০ বর্গফুটের তিন বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। ভাই এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দেওয়া ধার এবং সঞ্চয় থেকে দিয়েছিলাম। জায়গাটি ভালোবাসলেও নিরাপত্তার কারণে হয়ত খুব শিগগিরই এই ফ্ল্যাট ছেড়ে যেতে হবে, হয়ত শিগগিরই সরকারি একটি ফ্ল্যাটে চলে যেতে হবে। সবাই চেনেন, কিছুদিন আগে কয়েকজন তরুণের আড্ডার সামনে দিয়ে হাঁটার সময় আমাকে ‘গণশত্রু’ডেকেছিল। আমার পরিবার এই নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত।
প্রায় পাঁচ বছর আগে এক শ্যালকের কাছ থেকে ময়মনসিংহে খুব সস্তায় দামে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, একই ভবনে আমার স্ত্রী তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এই দুটি ফ্ল্যাট আমাদের জন্য মাসিক আয়ের একটি উৎস। এছাড়া গ্রামে আমার ৪০ শতাংশ আবাদি জমি আছে। আমার একটি মাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং তাতে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা (১১.৪ মিলিয়ন টাকা) সঞ্চিত আছে। গত আগস্টে এএফপিতে দুই দশকের চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের বেশিরভাগই পেনশন এবং গ্র্যাচুইটির।
তিনি বলেন, কিছু মানুষ প্রায় ৩০ লাখ টাকা ধার নিয়েছে। আমার ধারণা, বছরের শেষে আমার সঞ্চয় হয় অপরিবর্তিত থাকবে, নয়তো খরচের কারণে কমে যাবে। আমার একটি গাড়ি আছে। ঢাকা শহরে একটি গাড়ি পরিচালনা এবং ড্রাইভার রাখার মাসিক খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ শেষ করার পর ভাগ্য কোথায় নিয়ে যাবে, তা জানি না। তবে নিশ্চিত জানি, এই সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কোনো কাজ না পেলেও মধ্যবিত্তের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করতে পারব। ক্ষমতায় থাকলে অনেকেই আপনার উপার্জন নিয়ে মিথ্যা রটায়। এটাই আমার পূর্ণাঙ্গ সম্পত্তির প্রকাশ।
