ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১১ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৬

রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন চায় রিহ্যাব



রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন চায় রিহ্যাব

রিয়্যাল স্টেট খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতির পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)৷ 

ঘোষিত জাতীয় বাজেট (২০২৪-২০২৫) সম্পর্কিত রিহ্যাবের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো: ওয়াহিদুজ্জামান৷ রবিবার (৯ জুন) বেলা ১২টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলণের আয়োজন করা হয়৷ তবে ৩০ মিনিট পর বেলা সাড়ে ১২ টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়৷ 

লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমরা রিয়্যাল এস্টেট খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন করার অনুরোধ করবো৷ বর্তমানে রেজিষ্ট্রেশন ব্যয় অত্যাধিক৷ এর সাথে যদি করপোরেট ট্যাক্স যোগ করা হয় তাহলে রেজিষ্ট্রেশনের সর্বমোট খরচ প্রায় ৩০ শতাংশ৷ এবারের বাজেট পরবর্তী রেজিষ্ট্রেশন খরচ সবমিলিয়ে ৭% করার প্রস্তাব করছি৷'

৭% এর ব্যখ্যায় রিহ্যাব বলছে, গেইন ট্যাক্স ৮% থেকে কমিয়ে ২% করা, স্ট্যাম্প ফি ১.৫% অপরিবর্তিত রাখা, রেজিষ্ট্রেশন ফি ১% অপরিবর্তিত রাখা, স্থানীয় সরকার কর ২% থেকে কমি ১% করা, এআইটি ৫% পুরোপুরি বাতিল করা এবং মূল্য সংযোজন কর ৪.৫% থেকে কমিয়ে ১.৫% করার অনুরোধ জানানো হয়৷ অর্থাৎ ২২% থেকে কমিয়ে ৭% করার দাবি জানায় রিহ্যাব৷ 

প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে রিহ্যাব বলছে, আবাসন খাতকে গতিশীল করার জন্য সরকারের যে ধরনের নীতি সহায়তা দরকার ছিলো তা বাজেটে দৃশ্যমান হয়নি৷ 

এসময় লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ৫টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন৷ 
১. জমি ও ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রেশন ব্যয় কমানো, রিয়্যাল এস্টেট সেক্টরের বর্তমান অবস্থা ও বিশ্বের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় আবাসন ব্যবসায়ীদের আয়কর কমানো, সেকেন্ডারি মার্কেট এর প্রচলন করা, মধ্যবিত্তদের ফ্ল্যাট ক্রয়ে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সিংগেল ডিজিটবসুদে ক্রেতা সাধারণকে হোম লোন প্রদানের ব্যবস্থা করা, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য কমানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা৷

এছাড়া বাজেটে প্রস্তাবিত আয়কর আইন ২০২৩ এর ১২৬ অনুসারে ডেভেলপার বা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার এর নিকট হতে আবাসিকে প্রতি বর্গমিটার ১ হাজার ৬০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা এবং অনাবাসিকের জন্য প্রতি বর্গমিটারে ৬ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়৷ 

 এসব দাবি মেনে বাজেট বাস্তবায়ন করা হলে এই খাত সরকারের রাজস্ব আয়ে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে এবং ৬.৭৫% প্রবৃদ্ধি অর্জণ ঝুঁকি মুক্ত হবে বলে মনে করছে সংগঠনটি৷ 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ লায়ন এম.এ.আউয়াল, ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ ইঞ্জি. আব্দুল লতিফ, ফাইন্যান্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রাজ্জাক, ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজী দেলোয়ার হোসেন এবং পরিচালক ও প্রেস এন্ড মিডিয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ৷


   আরও সংবাদ