ঢাকা, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১০ রবিউল সানি ১৪৪৬

টেক্সটাইল খাত ইন্নালিল্লাহ হওয়ার পথে: বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট



টেক্সটাইল খাত ইন্নালিল্লাহ হওয়ার পথে: বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট

এবারের বাজেট বাস্তবায়ণ হলে খুব শীঘ্রই এ খাত ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন। আজ দুপুরে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফ আয়োজিত বাজেটোত্তর আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট বলেন,  প্রতিবছর বাজেট আসে বাজেট যায় কিন্তু টেক্সটাইল খাতের উন্নয়ন হয় না। ৪ দশকে টেক্সটাইল খাত ভালো করলেই করোনা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। আমরা প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার পর আলোচনার পর আলোচনা করি কিন্তু এসব আলোচনা আমাদের মধ্যেই থেকে যায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কখনোই আমাদের পরামর্শ আমলে নেয় না। তারা যেটা ভালো মনে করে সেটাই আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। 

মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বর্তমানে তারা বাজেট ঘোষণা করছে নিজেদের জন্যই। এখানে ব্যবসায়ী বলেন আর সাধারণ মানুষ বলেন কারো জন্যই কিছু থাকে না। রাজস্ব বোর্ড যা আয় করে তার পুরোটাই যায় পরিচালন ব্যয়ে। এ যেনো গাভির দুধ বাচুরে খাওয়ার বাজেট। 

তিনি বলেন, ব্যাংক খাত বর্তমানে খাদের কিনারায়। যারা সৎ ব্যবসায়ী আছে, বছরের পর বছর নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে আসছে তারা যখন সংকটে পড়ে এক-দুই কিস্তি দিতে পারে না তাদেরকে ঋণখেলাপীর তকমা দেওয়া হচ্ছে। অথচ যারা কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্বই নেই তাদের বিষয়ে কোনো মাথাব্যথা দেখছি না। রাঘব বোয়ালদের চাকর-বাকরের নামেও কোটি কোটি টাকা ঋণ ইস্যু করা হয়েছে যার কোনো হদিসই নেই, এমন ব্যাংকের এমডিকে টানা পাঁচ মেয়াদে এমডি রাখা হয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে?  

বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, বিদেশ থেকে জ্বালানী আমদানী করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বিদেশি কোম্পানীগুলো বৈদেশিক মুদ্রায় ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে, যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে টাকায় বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হচ্ছে। এর কোনো মানে হয় না। কেনো বছরের পর বছর বিদুৎ আমাদানী করতে হবে?

মোহাম্মদ আলী খোকন আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে সেখানে আমাদের দেশে সবই হচ্ছে অপরিকল্পিত। বাইরের জমির দামের চেয়ে শিল্পাঞ্চল এলাকার জমির দাম রাখা হচ্ছে অনেক বেশি। এসব এলাকার অনেক যায়গায় আবার পানির ব্যবস্থাও নেই। শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার পর তাদের মনে হয়েছে এখানেতো পানি নেই। তাহলে কারখানা চলবে কিভাবে সেখানে? তারওপর গ্যাস-বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে সবকিছুতেই বাড়তি খরচ দিতে হবে। অথচ বিশ্বের অনেক দেশে বিনামূল্যে জমি দেওয়া হচ্ছে, নামমাত্র পানি ও গ্যাসের দাম রাখছে, ব্যবসাবান্ধব ভ্যাট-ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এ খাতের মৃত্যু অবধারিত। এবারের বাজেট বাস্তবায়ণ হলে খুব শীঘ্রই এ খাত ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন হয়ে যাবে। 


   আরও সংবাদ