প্রতিনিয়তই বাড়ছে ডলারের চাহিদা। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। মান হারাচ্ছে দেশীয় মুদ্রা টাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার খরচ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোকে দেয়া হচ্ছে ডলার সহায়তা। এতে দেশে ডলার সংকট বেড়েই চলেছে।
বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৬২ কোটি ডলার সাপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছরের জুলাইয়ে সহায়তা দেয়া হযেছে এক হাজার ১৩৬ মিয়িলন ডলার। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিন ব্যাংকগুলোর কাছে মোট সাত কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সোমবার (১ আগস্ট) ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে ছাড়া হয় ৫০ মিলিয়ন ডলার। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে অর্থনীতিতে ইতিবাচক দিক আসছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩ মিলিয়ন বা ৩০ লাখ ডলারের বেশি আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। এর আগে যেটা ছিল ৫০ লাখ ডলার। বিলাসী পণ্যে শতভাগ মার্জিনের বিধান রাখা হয়েছে। এসব কারণে গত জুনের তুলনায় জুলাইয়ে আমদানি এলসি কমেছে। একইসময়ে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে এবং রপ্তানি বেড়েছে। এসব দিক ডলারের সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে এবং বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে।