ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ জৈষ্ঠ্য ১৪৩১, ২৪ রজব ১৪৪৬

লড়াইয়ে ফিরছে বাংলাদেশ



 লড়াইয়ে ফিরছে বাংলাদেশ

সকালটা ছিল রীতিমত দুঃস্বপ্নের। ৭ ওভারেই নেই টাইগারদের ৩ উইকেট। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়, মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। সেখান থেকেই অবশ্য বাংলাদেশকে কিছুটা আশার আলো দেখালেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর জাকের আলী অনিক। 

দুজনের জুটি ৮৯ রানের। সেই জুটির সুবাদে বাংলাদেশ লাঞ্চের আগে পেরিয়েছে ২০০। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে পিছিয়ে আছে ১ রানে। লাঞ্চে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে বাংলাদেশ দল। দিনের শুরুতে আগের দিনে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল হাসান জয় নামেন ব্যাটিংয়ে। তবে শুরুতে উইকেটের পেছনে কাগিজো রাবাদার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। একবল পরেই রাবাদার ইনসুইংয়ে বলে বোকা বনে বোল্ড হন মুশফিকুর। টেস্টের প্রথম ইনিংসেও মুশফিক অবশ্য এভাবেই বোল্ড হয়েছিলেন।

মুশফিক ৩৩ রানে থামেন এর আগে ৪০ রানে বিদায় নেন জয়। মিরপুরে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ক্রিজে ভরসা হয়ে ছিলেন লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। টাইগারদের সামনে এখন উঁকি দিতে শুরু করে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা। 

এরপরেই অবশ্য লিটন দাস বিদায় নিয়েছেন। কেশব মহারাজের সুইং করা বল লিটনের ব্যাট-গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনার হাতে। জোরালো আবেদন করেননি কেউই। তবু ভেরেইনার জোরাজুরিতেই কি না নিতান্ত অনিচ্ছায় এইডেন মার্করাম নিলেন রিভিউ। তাতেই আউট হলেন লিটন। ৩ উইকেটে ১০১ রানে দিন শুরু করে ১১২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় টাইগাররা। 

এরপর অবশ্য সময়টা জাকির আর মিরাজের। দুজনের জুটি ৮৯ রানের। দলের প্রয়োজনে আরও একবার ব্যাট হাতে ত্রাতা হয়েছেন মিরাজ। পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। ৭ চার ও ১ ছক্কায় এই ফিফটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস হারের শঙ্কা অনেকটাই দূর করেছেন এই অলরাউন্ডার। অভিষিক্ত জাকের আলীকে নিয়ে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন। ৬ উইকেটে ২০১ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। মিরাজ অপরাজিত ৫৫ রানে, জাকের ৩০ রানে।


   আরও সংবাদ