রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে বিক্রির জন্য জমির সম্পূর্ণ তথ্য গোপন করে দুটি পরিবারকে নিঃস্ব করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এর মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখ টাকার নির্মাণাধীন বাড়ি ও দোকানঘর উচ্ছেদের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ঘটনার সূত্রপাত মিঠাপুকুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের ০৭/২২ নম্বর মামলার কারণে। মামলার বাদী শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মূল এসএ রেকর্ডীয় মালিক মজিবর রহমানের বিক্রয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণা করার অভিযোগ এসেছে।
আপিলকারী মোঃ আব্দুল হামেদ গং-এর দাবি, প্রতারণার মাধ্যমে রায় হাসিলের জন্য নো-টিশ ও সমন গায়েব করা হয়েছে। আতিয়ার রহমান ও আমিনুল ইসলামকে মিথ্যা নোটিশ দেখানো হয়েছে এবং এলাকায় একই নামের সাক্ষীর স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এই প্রতারণার কারণে বিবাদী পক্ষ উচ্ছেদ অভিযান পর্যন্ত জানতেই পারেননি যে তাদের নামে মামলা হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশন সম্প্রতি সরেজমিনে তদন্ত করে এবং জালিয়াতির প্রকাশ পায়। সমন জারীর ‘মোকাবিলার সাক্ষী’ মাহবুব মাস্টার ও আব্দুস সামাদ নিশ্চিত করেছেন যে তাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।
.jpg)
গত ১২ নভেম্বর, আদালতের নায়েব নাজিরের মাধ্যমে নালিশী সম্পত্তি দখল বুঝিয়ে দেওয়ায় আমিনুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামের প্রায় ৬০ লাখ টাকার নির্মাণাধীন বাড়ি ও দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৬ নভেম্বর ভুক্তভোগী পরিবারগুলো রায় ও ডিক্রীর নকল দেখে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
মিঠাপুকুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আপিল দায়ের করা হয়, যাতে একতরফা রায় ও ডিক্রী রদ করা হয়। মামলার তায়দাদ নির্ধারণ করা হয়েছে ১,২১,৫০০ টাকা। সর্বশেষ আদালত এই আপিল মঞ্জুর করেছেন। এর ফলে প্রতারণার শিকার দুটি পরিবারের জন্য ন্যায়বিচারের পথ সুগম হয়েছে।
