ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২০ মহররম ১৪৪৬

মাটিরাঙ্গায় পরকীয়ার আগুনে পুড়লো সুখের সংসার



মাটিরাঙ্গায় পরকীয়ার আগুনে পুড়লো সুখের সংসার

১২ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সঙ্গে পরকীয়া। বিবাহবহির্ভূত এ প্রেমে তছনছ হয়ে গেছে সুখের সংসার। গত রবিবার (২৮ আগষ্ট) রাত ৯টায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটে খাগড়াছড়ির জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার আমবাগান গ্রামে। অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ বৈদ্য (৩২) দুই সন্তানের জনক। আটক নাসরিন আক্তার রিংকু (৩০) একই গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী।

স্থানীয়দের অভিযোগ- আমবাগান বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন মনির হোসেনের স্ত্রী। নাসরিন আক্তার রিংকুর স্বামী মনির হোসেন চট্টগ্রামে একটি প্রতিষ্ঠানে দিনমজুর। দাম্পত্য জীবনের ১৩ বছরে তাদের ১২ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মনির হোসেনের দূরে থাকার দূর্বলতাকে কাজে লাগায় তার স্ত্রী। মেয়েকে পড়ানোর সুবাদে তাদের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

জানা গেছে- গত রবিবার (২৮ আগষ্ট) রাত ৮টায় মনির হোসেনের বাড়িতে আসে আহাদ বৈদ্য। স্থানীয়রা তার আগমন আঁচ করতে পারে। এতে তাদের মধ্যে তৈরি হয় সন্দেহ। পরে তারা আহাদ বৈদ্যকে অনুসরন করতে থাকে। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত দুইজনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে। সালিশে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আমির হোসেন, সমাজ সর্দার সেলিম মিয়া, মসজিদ কমিটির সভাপতি সহ আরো অনেকে। পরে উভয়ের মতামতের ভিত্তিতে নাসরিন আক্তার রিংকু তার স্বামী মনির হোসেনকে তালাক দিয়ে আহাদ বৈদ্যকে বিয়ে করে। মনির হোসেন তার একমাত্র অসহায় মেয়েকে নিয়ে শূন্য বাড়িতে ফিরে আসে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আমির হোসেন বলেন- রবিবার আহাদ বৈদ্য স্থানীয় মনির হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক হয়। পরে স্থানীয়রা আমাকে বিষয়টি অবগত করলে আমি সেখানে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারি। অভিযুক্তরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। পরে অভিযুক্ত নারী জানায় সে তার স্বামীর সাথে সংসার করতে ইচ্ছুক নয়। সে তাৎক্ষনিক স্বামী মনির হোসেনকে তালাক দেয়। এসময় সবার উপস্থিতে আহাদ বৈদ্যকে বিয়ে করে। পরে মনির হোসেন তার শিশু বাচ্ছাকে নিয়ে ঘরে ফিরে যায়।

উল্লেখ্য, স্থানীয়দের নানা অভিযোগ রয়েছে আহাদ বৈদ্যের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অবৈধ নারী সঙ্গ, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং অবৈধ জন্মনিবন্ধন তৈরিতে সহায়তা করা।


   আরও সংবাদ