হাইকোটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান আব্দুল লতিফ গংদের বিরুদ্ধে। পুলিশের উপস্থিতিতে এ জমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড সমসেরাবাদ গ্রামের আলী মুদ্দিন বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক আলমগীরের পিতা মমিন উল্ল্যাহ জানায় ৭৫নং সমসেরাবাদ মৌজার ১১০৫, ১১০৭ দাগে ১২ ডিং জমি ওয়ারিশ ও ক্রয় সূত্রে মালিক মমিন উল্যাহ গং। তিনি ১৯৭৭ সালের ৫ জানুয়ারি সাবকবলা দলিল মূলে জালাল আহম্মেদ থেকে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, যাহার বায়া দলিল ৩১ আগষ্ট ১৯৪২ ইং সনের দলিল নং ৩৫০৫। যাহার সিএস ১১, এসএ ১৫, ডিপি ১৬৭৯ বতমান ডিপি ৫১৭৬। তিনি এলাহি বক্স তার মেয়ে সুজিয়া খাতুন, জামাতা জালাল আহম্মেদ থেকে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
এ জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছে মাঈন উদ্দিন পাঠান গং এবং আব্দুল লতিফ গংদের সাথে। এ সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্ট রিভিশন মামলা করেন মফিজ উল্ল্যা গং যাহার সিভিল রিভিশন নং ৪৫/২০২২ ইং। ৬ মাসের জন্য বিরোধকৃত সম্পক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট বিচার বিভাগ। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশের উপস্থিতিতে মাঈন উদ্দিন পাঠান ও আব্দুল লতিব গং প্রায় দেড় থেকে ২ শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে অবৈধভাবে ভোগদখলকৃত সম্পত্তি দখল করেন। বাড়ি ঘর ভাংচুর করে লুটে নেয় পাঠান গংরা।
এসময় জমির মালিক মমিন উল্ল্যাহ বলেন, এ সম্পত্তি মাঈন উদ্দিন পাঠানের পাঁচ মাস আগে আমার কেনা। উনি যে একতের নেছা থেকে জমি কিনেছেন তার মালিকানার কোন সত্ব নেই। এর আগে গত ১৩ ই মার্চ ২০২২ ইং তারিখে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব বরাবর পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে একটি লিখিত দরখাস্ত করেন জমির মালিক মমিন উল্ল্যাহ গং।
এসময় অবৈধভাবে জমি দখলবাজেরা জমি দখল করতে এসে কয়েকজন নারীর উপর হামলা করে এবং একটি টিনের ঘর ভাংচুর করে নিয়ে যায় পরে গাছপালা কেটে নির্মাণাধীন কাজ শুরু করে।
অভিযোগ রয়েছে ২০১৬ সালে অভিযুক্তরা একই কায়দায় ১১০৬ দাগের প্রায় ২ শতক সম্পত্তি জবরদখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে একই ব্যক্তিরা। ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিবারের দাবি পুলিশের কোন সহযোগিতার পায়নি তারা। ৯৯৯ চারবার ফোন করেও কোন সহযোগিতার পায়নি। পুলিশ সুপার ড. এইচ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, ওসিকে বলেছি কাজ বন্ধ করতে। তবে সাংবাদিক পরিবারের দাবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাঈন উদ্দিন পাঠানের পক্ষে কাজ করেছে। এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি জশিম উদ্দিনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।