ঢাকা, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১০ রবিউল সানি ১৪৪৬

সিটি নির্বাচন নিয়ে সিলেট আ'লীগে বিভক্তি, নেপথ্যে অধ্যাপক জাকির



সিটি নির্বাচন নিয়ে সিলেট আ'লীগে বিভক্তি, নেপথ্যে অধ্যাপক জাকির

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আরো এক বছরের বেশী সময় বাকি। এরই মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিভিন্নভাবে নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

বিগত দিনে সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তাঁর মৃত্যুতে এবার নতুন মুখ হিসেবে কে দলটির মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে এখন চলছে জোর আলোচনা।

এবার সিলেটে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন গতবারও মনোনয়ন চাওয়া মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। তাদের সাথে এবার নতুন করে মাঠে নেমেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরানপুত্র ডা. আরমান আহমদ শিপলু।

অতীতে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা কোন বিভক্তি ছাড়াই নিজেদের প্রচারণা চালিয়ে গেলেও এবার তা হচ্ছে না। নির্বাচনের এক বছর আগেই সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগে দেখা দিয়েছে চরম বিভক্তি। যা আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থীর জন্য বড় সমস্যার কারণ হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

জানা গেছে, নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সিটি কর্পোরেশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলোতে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার জন্য জুম্মার নামাজকে বেছে নিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রতি শুক্রবারেই বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করে স্থানীয়দের সাথে কুশল বিনিময় করে ব্যক্তিগত প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা৷ আর এখানেই দেখা দিয়েছে বিভক্তি।

ব্যক্তিগত প্রচারণায় সকল প্রার্থীই একা বিভিন্ন এলাকায় গেলেও ভিন্ন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির ১৫-২০ জন নেতাকে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় তাঁর সাথে নিয়ে যান। কোন কোন দিন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাদেরও তাঁর সাথে রাখেন। এতে করে অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে তাঁর সাথে যাওয়া নেতাদের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অবশ্য তাঁর সাথে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারাও অনেকটা বিব্রত। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদক বললে তারা তো না করতে পারেন না।

অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসে যেখানে দলকে সুসংগঠিত করার কথা, সেখানে অধ্যাপক জাকির হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত প্রচারণায় দলের নেতাকর্মীদের ব্যবহার করছেন। দলের ভেতরর গ্রুপিংয়ের জন্ম দিচ্ছেন তিনি।

এতে আওয়ামী লীগ নেতারা বিব্রতবোধ করলেও মুখ খুলছেন না৷ কেউ কেউ এগুলো নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করলেও বাকিদের সাথে আমাদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, আমরা সাধারণ সম্পাদকের সাথে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জুম্মার নামাজে যাচ্ছি। তিনি আমাদের নেতা, তিনি সাথে যেতে বললে আমাদের তো না করার সুযোগ নেই। তবে অনেক যায়গায় গিয়ে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আর অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সামনেও আমরা বেকায়দায় পড়ে যাই।বিষয়টি আমরা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতিকে অবগত করেছি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও একজন কাউন্সিলর বলেন, সিটি নির্বাচনের আর বছর খানেক বাকি। আমার ওয়ার্ডে ৯টি মসজিদ আছে। কিন্তু জাকির ভাই সাথে যেতে বলায় নিজের এলাকায় সময় না দিয়ে উনার সাথে যাচ্ছি।


   আরও সংবাদ