বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী কল্যাণ পরিশোধের ব্যানারে ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবনের নবম তলায় বিক্ষোভ করেছে কম্পিউটার অপারেটর ও হিসাবরক্ষকরা। বৃহস্পতিবার তারা এই বিক্ষোভ করে। তাদের দাবি, ৫ বছর পর পর পদন্নতির কথা থাকলেও ১৩ বছর হলেও পদন্নতি পাননি তারা।
এবার তারা পদন্নতিসহ ক্ষতিপূরণ এবং পদন্নতি না দেয়া ব্যক্তিদের পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত দ্রুততম শাস্তি হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ৭৬ জনের ১ম জনবল কাঠামো প্রস্তুতকারীর অপসারণ দাবি করেছেন। দাবি নিয়ে তারা অফিসের ভেতরে প্রশাসন ভুয়া, ভুয়া স্লোগান দেয়। একই সঙ্গে হট্টগোল করে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
তবে হঠাৎ করে নাটোরে বদলি হওয়া এক কর্মচারীকে এক ঘণ্টার মধ্যে প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসার আল্টিমেটাম দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে পুরো ভবনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিলটি সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) এর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জনসংযোগ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার রুমে গিয়ে হট্টগোল ও চরম দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তার গায়ে হাত তোলার হুমকি দেন হিসাব রক্ষক পারভেজ মোশাররফ। এতে আতংকিত হয়ে তাৎক্ষণিক প্রশানের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আবেদনর করেন গোলাম কিবরিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই আন্দলনে নেতৃত্বদানকারী হাইটেকপার্ক কর্তপক্ষের হিসাবরক্ষক মোশাররেফ হোসেন পারভেজ ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও অফিস সহকারি শর্মিলী খাতুন। আন্দোলনের নেত্রী শর্মীলি খাতুনের স্বামী আইসিটি বিভাগের বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি মন্ত্রীর পুত্রবধূর পরিচয়ের (তার দাবি) ক্ষমতা খাটিয়ে ইচ্ছেমতো অফিস আসতো-যেতো। অফিসের শৃঙ্খলা কখনো মেনে চলেনি বলে বেশির ভাগ কর্মকর্তা তার প্রতি সন্তুষ্ট নন।
এছাড়াও মোশাররফ হোসেন পারভেজের স্ত্রী নাসরিন খাতুন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় স্টোরকিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার সংস্কার আন্দোলনের বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা পোস্ট দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, যাকে একঘণ্টার মধ্যে বদলি করে প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসার হুমকি দেয়া হয়েছে সে যশোর ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলো। সাবেক আইসিটি ও টেলিকম প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাবেক এপিএস এর তদবিরে নিয়োগ পেয়েছে।