রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। প্রতারক চক্রটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রাজধানীর ভাটারার ম্যাগপাই রেস্টুরেন্ট থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তারা হলেন- মো. জাকির হোসেন (৩৫), ইয়াসিন আলী (৩৪), মাহবুব ইশতিয়াক ভুইয়া (৩৫), আনিসুর রহমান সোহান (৪২), মো. দুলাল হোসাইন (৩৫), মো. আসলাম (৫৩), আব্দুর রাজ্জাক (৪৮), জাকির হোসনে (৪৪), মো. আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া (৫৬), মো.নজরুল ইসলাম (৫০)। এদের মধ্যে জাকির হোসেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় এসএমই সেলস টিম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জাকির এ পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় গোপনে ব্যাংকের সার্ভার থেকে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে এই টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করেন। পরে স্বাক্ষর জাল করার জন্য ইয়াসিন আলীকে তথ্য দেন। পরে মাহবুব ইশতিয়াকের এনআই করপোরেশন বিডি লিমিটেড নামে এবি ব্যাংকের মতিঝিল শাখার একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন। বাকিরা জাকিরের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করে।
গত ২৫ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে প্রতারক চক্রটি ইএফটির মাধ্যমে ওয়ালটন গ্রুপ পরিচালক এস এস আশরাফুল আলমের ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা, পরিচালক এম মঞ্জুরুল আলমের অ্যাকাউন্ট থেকে ছয় কোটি ৫০ লাখ টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা থেকে এনআই করপোরেশন বিডি লিমিটেড নামে পরিচালিত এবি ব্যাংকের মতিঝিল শাখার একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করার জন্য উভয় পাশে স্বাক্ষরিত দুটি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ফরম দেন। তখন ব্যাংক ম্যানেজারের সন্দেহ হলে বিষয়টি ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে ওয়ালটন আইন বিভাগে কর্মরত ফাস্ট সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর সাফায়েত তারিকের সঙ্গে কথা বলতে তারা নিশ্চিত হন, প্রতারণার কথা।
পরে ভাটারা থানাকে বিষয়টি অবহিত করলে সহকারী পুলিশ কমিশনার মো, তয়াসির জাহান বাবু, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল হকের নেতৃত্বে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।