জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের (ডিডাব্লিউ) সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ায় কর্মরত ডিডাব্লিউ’র সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘রাশিয়ার ভিতরে ডিডাব্লিউ’র স্যাটেলাইট এবং সমস্ত ব্রডকাস্টিং কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’ এরপর থেকে ডিডাব্লিউকে তাদের ফরেন এজেন্ট হিসেবে দেখা হবে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের মধ্যে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখন রাশিয়ার তরফ থেকে এমন ঘোষণা দেওয়া হলো। এ ধরনের পদক্ষেপ রাশিয়া ও পশ্চিমের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডয়চে ভেলের মস্কো ব্যুরোর প্রধান জুরি রিচেতো জানান, তাকে শুক্রবার সকালের মধ্যে কার্যালয় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া।
সম্প্রতি জার্মানিতে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম আরটি’র জার্মান ভাষার অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। জার্মানি জানিয়েছে, কিছু টেকনিক্যাল কারণে তা বন্ধ করা হয়েছে। ঠিক এক দিন পরই ডয়চে ভেলের মস্কো ব্যুরো বন্ধ ঘোষণা করল রাশিয়া।
ফলে রাশিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা কোনো ধরনের সংবাদ তৈরি করতে পারবে না। ডিডাব্লিউ’র ডিরেক্টর জেনারেল পিটার লিমবুর্গ রাশিয়ার এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন। এ বিষয়ে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
ডিডাব্লিউ’র ডিরেক্টর জেনারেল পিটার লিমবুর্গ জানান, আরটি’র সঙ্গে ডিডাব্লিউ’র বিষয়টি গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। আরটি রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম। ডিডাব্লিউ জার্মানির পাবলিক ব্রডকাস্টার। তাছাড়া রাশিয়া যা করেছে তা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করে ও সম্প্রচার কার্যক্রম বন্ধ করে রাশিয়া সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে পারবে না। রাশিয়ার খবর আগের চেয়ে আরও বেশি দেখাবে ডয়চে ভেলে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার এই ‘ফরেন এজেন্ট’ আইন নিয়ে বহু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত কয়েক বছরে বহু সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীকে এই আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন।
সূত্র : ডিডাব্লিউ,এএফপি