সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য, বিশেষ করে সন্ধ্যায়, যখন শরীরের বিপাক স্বাভাবিকভাবেই ধীর হয়ে যায়। সঠিক পানীয় নির্বাচন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, স্পাইক কমাতে এবং ভালো ঘুমের জন্য সাহায্য করতে পারে, যা সকালে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এমন কিছু পানীয় পান করতে পারেন যেগুলো আপনাকে এই কাজে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভেষজ চা
যারা স্বাভাবিকভাবেই তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাদের সন্ধ্যার সময় ক্যামোমাইল এবং হিবিস্কাসের মতো মিষ্টি ছাড়া ভেষজ চা পান করার চেষ্টা করা উচিত। ক্যামোমাইল চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। হিবিস্কাস চা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা সরাসরি রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবিত করে। ক্যাফেইন-মুক্ত ভেষজ চা ক্যামোমাইল এবং হিবিস্কাস একটি প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করে, যা আরাম করতে এবং ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। যা পরের দিন রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে।
দারুচিনি চা
গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে দারুচিনি চা খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এবং ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া উন্নত করে। দারুচিনি চা তৈরির প্রক্রিয়ায় দারুচিনির কাঠি পানিতে ফুটিয়ে একটি সহজ পানীয় দ্রবণ তৈরি করা হয়। যেহেতু এতে ক্যাফেইন থাকে না, তাই সহজেই দারুচিনি চা পান করতে পারেন। দারুচিনি চা খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যা ঘুমানোর আগে রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উপকারী প্রাকৃতিক চিকিৎসা হতে পারে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি-য়ে ক্যাটেচিন থাকে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। ২৭টি গবেষণার ২০১৯ সালের একটি গবেষণা পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন গ্রিন টি পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়। সন্ধ্যায় মিষ্টি ছাড়া গ্রিন টি পান করলে দুটি সুবিধা পাওয়া যায়, কারণ এতে L-theanine থাকে, যা শিথিলতা বৃদ্ধি করে এবং ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। চিনি বা দুধ যোগ না করে গ্রিন টি পান করলে রক্তে শর্করার সম্পূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যায়।
