ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ রমজান ১৪৪৬

ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় মৃত্যু



ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় মৃত্যু

পত্রিকার পাতা উল্টালে কিংবা টেলিভিশনের স্কিনে চোখ বোলাতেই নজরে আসে কত-শত মৃত্যুর খবর। কিছু কিছু মৃত্যু হয়ে থাকে রহস্যময়। তদন্তে বেরিয়ে আসে সেসব রহস্য। কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় আত্মহত্যা, কেউ বা হয়েছেন খুন। তবে ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় মৃত্যু কোনটি সেটি কি জানেন? বলতে পারবেন কেউ? 

রোনাল্ড ওপাস। তিনি ছিলেন আমেরিকান নাগরিক। তার জীবন হতাশার মাঝে কাটছিল। কর্মক্ষেত্রে কেবলই ব্যর্থই হচ্ছিলেন। আর তাই তিনি তার জীবনের সকল সমস্যার সহজ সমাধান করতে চেয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে ২৩ মার্চ আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। ওই দিন নিজের এপার্টমেন্টের ১০ তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন রোনাল্ড ওপাস।

আত্মহত্যা করার আগে পরিবারের উদ্দেশ্য লেখেন একটি চিঠি। তাতে বলে যান, সুন্দর জীবন নিয়ে বাঁচার জন্য সবটুকু আশা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এরপর হাসপাতাল এবং পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী পোস্টমর্টেম করে সৎকার করা হয়। কয়েকদিন পর যখন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসে তখনই শুরু হয় সব গণ্ডগোল। সেখানে বলা হয়, রোনাল্ডকে খুন করা হয়েছে। তার মাথায় পিস্তলের গুলি মিলেছে।

হতবাক হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে পরিবারের লোকজনও। তদন্তে বেরিয়ে আসে গুলির রহস্য। রোনাল্ড যে বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়েছিল সেই বিল্ডিংয়ের ৯ম তলায় থাকতেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। সারাক্ষণই তারা ঝগড়ায় লিপ্ত থাকতেন। আর যেইদিন রোনাল্ড ছাদ থেকে লাফ দেয় ঠিক সে সময়ও দম্পতির ঝগড়া করছিল। বৃদ্ধ লোকটি তার স্ত্রীর দিকে বন্দুক তাক করে ভয় দেখাতে থাকে।

এক পর্যায়ে ঝগড়া বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেলে বৃদ্ধ লোকটি অনিচ্ছাকৃতভাবে ট্রিগারে চাপ দেয়। তার স্ত্রী দূরে থাকার কারণে বৃদ্ধের ব্যর্থ নিশানা স্ত্রীর গায়ে না লেগে সোজা বাইরে বেরিয়ে যায়। আর সেই মুহূর্তেই রোনাল্ড ছাদ থেকে লাফ দেয়। সোজা গিয়ে তার মাথায় লাগে বৃদ্ধের ছোড়া গুলি। যার কারণে নিচে পড়ার আগেই রোনাল্ড মারা যায়।


   আরও সংবাদ