ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হচ্ছে: ইইউ রাষ্ট্রদূত 



বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হচ্ছে: ইইউ রাষ্ট্রদূত 

‘বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ২৭ দেশের ইউরোপীয় ওই জোটের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি। সাংবাদিক তারিক চয়নের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইমার্জিং পাওয়ার। আপনার এত গুরুত্ব থাকলে এটা খুবই স্বাভাবিক যে, বিশ্বের মূল খেলোয়াড়রা আপনার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চাইবে এবং আপনার ভাবনাকে প্রভাবিত করতে চাইবে। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়- বাংলাদেশের এ নীতির প্রতি সম্মান রেখেই বলি, দু’ পক্ষেরই স্বার্থ বিবেচনায় আমরা বাংলাদেশের সেরা বন্ধু। উদাহরণস্বরূপ আমরা সবাই জানি, জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও একটি। বাংলাদেশের ১৫-২০ মিলিয়ন মানুষ এর প্রভাবে জোরপূর্বক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী ৫/৬ বছরে আমরা ক্লাইমেট ফাইন্যান্সে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে অর্ধ বিলিয়ন ডলার দিতে চাই।’ 

বাংলাদেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় আগামী বেশ কয়েক বছর ইইউ ফান্ডিং বাড়াতে চায় জানিয়ে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক শিক্ষা খাতে দীর্ঘদিনের ডোনার। আমাদের আগামীর ফান্ডিং-এর ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় অগ্রাধিকার পাবে- মানব উন্নয়ন, সুশাসন এবং গ্রিন ট্রানজিশন। আর, মানব উন্নয়নের জন্যই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশিদের ভবিষ্যতের জন্যই তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করি। আমরা এ বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। কিছুদিন আগে কমিশনার জোহানসন (ইইউ’র স্বরাষ্ট্র এবং অভিবাসন বিষয়ক কমিশনার ইলভা জোহানসন) বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার অনেকগুলো এজেন্ডার মধ্যে একটি ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্ভাব্য ‘ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ’ যার মাধ্যমে বাংলাদেশিদের সঠিক দক্ষতা দিয়ে প্রশিক্ষিত করে তোলা যাতে তারা ইউরোপে গিয়ে কয়েক বছর থাকতে পারে এবং নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে। সেই সঙ্গে ইউরোপে নিজেদের অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে আবার যেন বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারে। কারণ, আমরা  ‘ব্রেইন ড্রেইন’ চাই না।’

চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই নির্বাচন ঘিরে আগ্রহ শুধু দেশের ভেতরেই নয়, সারা বিশ্বেই তৈরি হয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাতে চায়।

তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক বাড়াচ্ছি। কেন বাড়াচ্ছি? বাংলাদেশ এই অঞ্চলের খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হচ্ছে। আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। বাংলাদেশ এই স্ট্র্যাটেজি’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ। স্পষ্টতই বাংলাদেশ পরিবর্তিত হচ্ছে। ইইউ’ও পরিবর্তিত হচ্ছে। আমরা আরও ইনটিগ্রেটেড হচ্ছি। আমরা আরও বেশি ‘পলিটিক্যাল অ্যাক্টর’ হচ্ছি। ২৫ বছর আগেও কিন্তু এমনটা ছিল না। 

নতুন সম্পর্ককে বাস্তবতায় রূপ দিতে আমরা নতুন অংশীদারিত্ব আর সহযোগিতার চুক্তি করতে চাই। আমাদের বর্তমান দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ২০০১ সালে করা, যা অনেক সেকেলে। আগে কেবল শিক্ষা, উন্নয়ন, বাণিজ্য ইত্যাদি ইস্যু ছিল। নতুন চুক্তিতে মূলত কৌশলগত ইস্যুগুলো থাকবে। এ বছরই আমরা সে ধরনের চুক্তিতে পৌঁছতে পারবো বলে আশা করছি।’ কৌশলগত কারণে এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের অনেকেরই ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য দ্বৈরথ, রাশিয়ানদের আগ্রহ, এ অঞ্চলে চীন-ভারত দুই বড় শক্তির প্রতিযোগিতা সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে। 

রাষ্ট্রদূত চার্লস নিজেই এর আগে বলেছিলেন, এ অঞ্চলের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ইইউ’র বিনিয়োগ কম। সেটা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে বললেন, ‘সব ঠিকঠাক থাকলে ভালো সম্ভাবনা আছে। ইউরোপিয়ান চেম্বার অফ কমার্স উদ্বোধন করার পেছনে এটাও অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ৮০ ভাগই গার্মেন্ট প্রোডাক্ট। এখানে বিনিয়োগ লাভের জন্য পণ্যের ভ্যারিয়েশন বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অন্যান্য খাতেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। যেমন: চা, ওষুধ, চামড়া, পাট ইত্যাদি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ইউরোপের ব্যবসায়ীরা দেশটিকে নতুনভাবে দেখতে পারে।’ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটা একটা ট্রানজিশনাল পিরিয়ড। বাংলাদেশ মনে হয় ভালো করেই জানে কী করতে হবে। স্মুথ ট্রানজিশন আমাদের ব্যবসার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবে, বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। (পরবর্তী সুবিধা লাভে) কিছু সুস্পষ্ট শর্ত আছে। যেমন: দুর্নীতি, ব্যবসার পরিবেশ, শ্রমিক অধিকার, মানবাধিকার নিয়ে। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের (ইইউ-বাংলাদেশ) সম্পর্ক জোরদারে মূল্যবোধ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক নীতি, বহুপাক্ষিকতা হতে পারে। অনেক দেশ বহুপাক্ষিকতা থেকে সরে আসছে এই বলে যে, জাতিসংঘের মতো সংস্থাগুলো আর কাজ করছে না। কিন্তু, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বহুপক্ষীকতায় বিশ্বাস করি।’

ইইউ রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে আগমনের দেড় বছরও হয়নি। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং নির্বাচন কমিশন সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে তার আলাপ-আলোচনা হয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে এসেই তিনি বলেছিলেন, ‘ইইউ নির্বাচন প্রক্রিয়া ‘গভীরভাবে নজরে’ রাখবে। বাংলাদেশের মানুষ ভোটের দিন সকালে উঠে যাতে বুঝতে পারে, তার ভোটটি গণনা করা হয়েছে এবং তাদের ভোট দেয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।” এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ইইউ’র খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সুতরাং, এখানকার স্থানীয় যেকোনো কিছু আমাদের নজর কাড়াটাই স্বাভাবিক। আমি মনে করি, এটা খুবই স্পষ্ট যে, ইইউ সহ বাংলাদেশের অন্যান্য বন্ধুরা আগামী নির্বাচনে নজর রাখবে। ইইউ বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাতে চায়, যদি সেটা সহায়ক হয় এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়। যেকোনো দেশের জন্যই যেকোনো নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য এটা একটা ‘কী মোমেন্ট’। কারণ, এই নির্বাচনকে ঘিরে আগ্রহ শুধু এই দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই তৈরি হয়েছে।’ নতুন বছরের শুরুতে বৃটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের এমপিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলে কোনো সমস্যা নেই। বিষয়টিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আমাদের খুবই দক্ষ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন যারা সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে থাকেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে আমরা প্রস্তুত থাকবো। তবে, সেজন্য অবশ্যই সরকারের কাছ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর আমরা ১২/১৩টি দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করি। নির্বাচনের ছয় মাস আগে আমাদের একটি দল এসে প্রাথমিকভাবে মূল্যায়ন করে দেখে যায় যে, সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ মিশনের জন্য সেটা ‘ফিজিবল’ কিনা। কিন্তু, সেটা মূলত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে সমন্বয়ের ওপর নির্ভর করে। পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। মনে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে সমমনা অন্যরাও পর্যবেক্ষণে আসতে আগ্রহী হবে। কারণ, পর্যবেক্ষণ সব পক্ষের জন্যই একটা ইতিবাচক বিষয়। এটা কেবল সমালোচনা করা নয়, গঠনমূলক সহযোগিতারও বিষয়।’

গত ১০ই ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে ইইউ সহ ঢাকাস্থ ১৫টি কূটনৈতিক মিশন এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছিল। সে প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমার মনে হয় এ বিষয়ে আমাদের সামগ্রিক সম্পৃক্ততাটা বুঝতে হবে। যেখানে আমাদের পোস্টিং সেখানে কী হচ্ছে তা নিয়ে আমাদেরকে আমাদের ক্যাপিটালে প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট করতে হয়। আমেরিকা, জাপান, জিম্বাবুয়ে যেখানেই আমরা থাকি না কেন। সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা যেমন: নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে গত বছরের জুলাইয়ে ওইসিডি (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী মিশন প্রধানরা বসেছিলাম, এগুলো সবই (এখানকার পরিস্থিতি) বুঝবার এবং রিপোর্ট করার অংশ। কারণ, না বুঝে আপনি সম্পর্ক গড়তে পারেন না। আমাদের সম্পর্ক যেভাবে জোরদার হচ্ছে, সে কারণেই এসব ইস্যু বোঝাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সবাই বাংলাদেশকে সাহায্য করার কথা বলছে। কিন্তু, কাজের কাজ তো কিছুই হচ্ছে না। আমরা কি প্রশংসনীয় কোনো উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি? এ প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বললেন, যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন জরুরি। আমি এটা আবারো নিশ্চিত করছি যে, এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান সম্পূর্ণ একমত। যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসন জরুরি। কিন্তু, সেটা স্বেচ্ছায় এবং নিরাপদে হতে হবে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের দিকে তাকালে যে কেউ বলবেন, সেখানে যাওয়াটা নিরাপদ নয়। জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস হয়েছে। আমরাও মিয়ানমারের ওপর প্রভাব খাটাতে চাচ্ছি। তাদের ওপর স্যাংশন দিয়েছি, অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি, উন্নয়ন সহযোগিতা বাতিল করে দিয়েছি। কিন্তু, এখন পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতির এমন কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি; যাতে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে পারে। কারও কাছে জাদুকাঠি নেই যার মাধ্যমে তারা দ্রুত মিয়ানমার ফিরে যেতে পারে। এই সময়টায় রোহিঙ্গাদের একটা সুন্দর জীবনের জন্য আমরা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। গত বছরও আমরা ৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছি। স্থানীয় হোস্ট কমিউনিটির পাশাপাশি ভাসানচরেও আমাদের সহযোগিতা রয়েছে।

২০২১ সালের অক্টোবরে ইউরোপ মহাদেশের অধিকাংশ দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোটটির (ইইউ) রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করলেও বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার নতুন নয়। ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ঝানু কূটনীতিক চার্লস হোয়াইটলি বাংলাদেশে ইইউ’র রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, প্রেস এবং তথ্য বিভাগের প্রধান ছিলেন। সে সুবাদে বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনাপ্রবাহ নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছিল তার। চলতি বছর ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন হচ্ছে দেখে ভীষণ আনন্দিত রাষ্ট্রদূত। তিনি বাংলাদেশের দ্রুত উন্নতি দেখেও বেজায় খুশি।


   আরও সংবাদ