ঢাকা, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ জৈষ্ঠ্য ১৪৩১, ৮ শাবান ১৪৪৬

হাত দেয়া যাচ্ছে না সবজি-মাছে



হাত দেয়া যাচ্ছে না সবজি-মাছে

দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর অস্বাভাবিক ভাবে দাম বেড়ে গেছে সবধরনের সবজির দাম। এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। ফলে সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সেই সঙ্গে মুরগি এবং মাছের দামেও অস্বস্তি দেখা গেছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিমের সঙ্গে অস্বাভাবিক দাম বাড়ে ব্রয়লার মুরগির। এরপর গত সপ্তাহে ব্রয়ালর মুরগির দাম কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়ালর মুরগি কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ টাকা কেজি। দুই সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকায় উঠেছিল। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।

মুরগির দামের বিষয়ে বাংলামটরের ব্যবসায়ী মো. আরিফ বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহও কম রয়েছে। যে কারণে দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণে মুরগির বিক্রি কম হচ্ছে। আমাদের ধারণা কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে মুরগির সরবরাহ বাড়বে, তখন দাম কমতে পারে।

এদিকে  চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে  শিম ও ফুলকপি। পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামও বেশ চড়া। ফলে সবজি কিনতে এসে অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। আগের মতো বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজিটির দাম কিছুটা কমেছে। এক কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে শিমের কেজি ছিল ১৯০ টাকা। নতুন আসা ছোট ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। শিমের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর এবং বরবটির দাম। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

দামি এই সবজিগুলোর পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সবজির। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙা, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

সবজির দাম নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেন কারওয়ান বাজারের ক্রেতা সাজ্জাদ বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে কেউ স্বস্তিতে নেই। কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। সবাই মুখ বুজে চুপচাপ সব সহ্য করে নিচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও আলুর। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। তবে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পোয়া বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

দাম অপরিবর্তিত থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি ও ইলিশ। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।


   আরও সংবাদ