কোকাকোলার বাংলাদেশি নতুন বিজ্ঞাপন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো হয়েছিল বলে মনে করা হলেও আদতে তার কিছুই ঘটেনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে আবারও সমালোচিত সেই বিজ্ঞাপনটি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে এক মিনিটের ওই বিজ্ঞাপনটি ইউটিউবে দেখা যাচ্ছিল না। এতে প্রায় সবাই ধরে নিয়েছিলেন, সমালোচনার মুখে হয়তো বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিয়েছে কোকাকোলা।
তবে, সন্ধ্যার পর থেকে আবারও সেই বিজ্ঞাপনটি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাওয়ার পর থেকে মনে করা হচ্ছে, সমালোচনা এড়াতে বিজ্ঞাপনটি ‘প্রাইভেট’ করে রাখা হয়েছিল। পরে আবার ‘পাবলিক’ করে দেয়া হয়। একইসাথে ওই বিজ্ঞাপনে যাতে আর কেউ মন্তব্য করতে না পারেন, সেজন্য কমেন্ট বক্স বন্ধ রাখা হয়েছে। রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত ওই ভিডিওটি ৩ লাখ ৩২ হাজার বার দেখা হয়েছে।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী বেশকিছু পণ্যের সঙ্গে কোকাকোলাও বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। এরপর নতুন তৈরি বিজ্ঞাপনে কোকাকোলা ইসরায়েলের পণ্য নয়- বার্তা দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয় কোম্পানিটি।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। অনেকেই এবার শুধু কোকাকোলা না, যে দোকানে এই পণ্যটি বিক্রি করবে সেই দোকানও বয়কটের ডাক দেন। এ বিষয়ে কোকাকোলা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।