আদর্শ জাতি বিনির্মাণে টেকসই শিক্ষার বিকল্প নেই। কেননা শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। এই মেরুদন্ড মজবুত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেই মেরুদন্ড ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় ছাত্ররাজনীতির কারণে। প্রায়ই ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব স্তরে ছাত্ররাজনীতি।
ছাত্র সংগঠনগুলো ছাত্রদের কল্যাণে কতোটুকু ভূমিকা রাখছে তা কিন্তু এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। তবে রাজনৈতিক দলে ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করার ভূমিকা দলের কাছে প্রসংশনীয়। এজন্যই ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সমালোচনা উঠলেই চমকে উঠে রাজনৈতিক দলগুলো। এই বুঝি ঢাল বিহীন হাতিয়ার হয়ে গেলাম। রাজনীতি কোন স্বীকৃত পেশা হতে পারে না। যার জন্য পুরো শিক্ষা জীবন কাটিয়ে দিতে হবে। হ্যা, যারা রাজনীতির মাধ্যমে মানব সেবার পথ বেছে নিতে আগ্রহী তাদের পথ আলাদা। সাধারণ ছাত্রছাত্রী যারা রাজনীতি এতোটা পছন্দ করে না তাদেরকে রাজনীতি মুক্ত একটি সোজা পথ রাখা প্রয়োজন। গ্রামে থকে শহরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী রাজনীতি করতে শহরে যায় না। একাডেমিক একটি সার্টিফিকেটের জন্য তারা গ্রাম ছেড়েছেন।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদেরকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক দলেয় ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিতে হয়। ক্লাস থেকে বেড়িয়ে মিছিলের শ্লোগানে যোগ দিতে হয়, অথবা হলে নিজের কক্ষে নেতাকর্মীদের আশ্রয় দিতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের সাথে মিশে থাকতে হয়। প্রথম সারির কিছু নেতাকর্মী পরবর্তী জীবনে মন্ত্রী এমপি হয়ে বেতনভুক্ত পেশা হিসেবে রাজনীতিকে ধরে রাখেন। বাকিরা শুধু রাজনীতি না, বরং একাডেমিক শিক্ষা থেকেও ছিটকে পড়েন। রাজনৈতিক দলের উঁচু সারির নেতারা প্রায়ই বলে থাকেন, ''ছাত্র রাজনীতির একটা গৌরবময় অতীত ইতিহাস রয়েছে।'' কথাটিতে ছাত্রদের উৎসাহ দেয়া ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যায় না। তবে ছাত্রদের আন্দোলন করার গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। ৪৮, ৫২, ৬৯ অথবা ৯০ এ সাধারণ ছাত্ররা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। এটাকে ছাত্ররাজনীতি বলে না। এটা ছাত্রআন্দোলন। প্রশ্ন উঠতে পারে, সাধারণ ছাত্ররা ওইসব আন্দোলনে কেন গিয়েছিল? সাদাসিধে উত্তরে বলা যায়, দেশের প্রয়োজনে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে তারা নিজেরাই নিজেদের বিবেকের কাছে নত হয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে আন্দোলনগুলোতে অংশ নিয়েছিল। উত্তাল ওইসব দিনগুলোতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন-সংগ্রামের কাছে মাথা নুইয়েছিল শোষকরা। তখনকার সময়ে সব শ্রেণির ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ ছিল।
বর্তমানে প্রতিটি ছাত্রসংগঠন নিজনিজ রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ক্যাম্পাসে কাজ করছে। ছাত্রঅধিকার নিয়ে কাজ করলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ওইসব সংগঠনের প্রতি আগ্রহ দেখায়। এর আগে আমরা দেখেছি, ২০১৭-১৮ সালে যখন সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার দাবিতে দেশে আন্দোলন শুরু হয় তখন সব শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা এ আন্দোলনে সহমত প্রকাশ করে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে অংশ নেয়। রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলোও এ আন্দোলনে রাজপথ ছেয়ে ফেলে। কারণ এটা ছিল ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রঅধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্যতম যুগ্ম-আহŸায়ক হিসেবে নুরুল হক নুর আলোচনায় আসেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে এতোটাই কাছে নিয়েছিলেন যার কারণে তিনি নির্দলীয় হয়েও ২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। বর্তমানে যখন তিনি রাজনৈতিক দল 'গণঅধিকার পরিষদ' প্রতিষ্ঠা করেন তখন কিন্তু গণঅধিকার পরিষদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রঅধিকার পরিষদে আগের মতো সাধারণ শিক্ষার্থী নেই। যারা আছেন তারা রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছেন। কারণ তখনকার সময়টা ছিল সকল ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। এখন ছাত্রঅধিকার পরিষদকে দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক কার্যক্রম চালাতে হবে। এ থেকে স্পষ্ট যে, সাধারণ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের ছাত্র সংগঠন কল্যাণকর ও দ্রæত বেগবান হয়। কিন্তু সেই সংগঠনগুলোই যখন রাজনৈতিক এজেন্ডা সংযুক্ত হয় তখন কিন্তু ঝিঁমিয়ে পড়ে। কারণ দেশে বহু ছাত্র আছে যারা রাজনীতিকে এড়িয়ে নিজের মতো একটি পেশা বেছে নিতে চায়। নিজেক নিজের মতো গড়তে চায়। রাজনীতিমুক্ত থাকতে চায়।
রাজনীতি দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য হলেও এখন ক্ষমতার প্রদর্শনী ও ভোগ বিলাসের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আর ছাত্ররাজনীতি পরিণত হয়েছে মানুষ মারার রাজনীতিতে, যার মাধ্যমে অকালেই নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে বহু প্রাণ, নিঃশেষ হয় বহু স্বপ্নের। ইডেন কলেজের বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালে বোঝা যায়. “ছাত্ররাজনীতি কোন পথে?” প্রথমে হলে সিট পাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এলেও অভিযোগ নানাভাবে মোড় নিচ্ছে। অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী নানাভাবে মানসিক হেনস্থার শিকার হচ্ছে। আপত্তিকর ছবি তোলানো, চাঁদাবাজি এসব অভিযোগ আমলে না নিলেও চুল ছেড়া মারামারির দৃশ্য একমাত্র ছাত্ররাজনীতিতেই সম্ভব। এর আগে ক্ষমতাশীন দলের ছাত্র নেতাদের দ্বারা বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকান্ডের পর প্রশ্ন উঠেছিল দলভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন আছে কি না। সেই প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। সদ্য কলেজে পা রাখা ছাত্রটি দৈহিক গঠনে বেড়ে উঠলেও শিশুসুলভ আচরণ তার মধ্যে বিদ্যমান। এই সময়টিতেও ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষমতার দাপট কীভাবে দেখাতে হয় সেটা শিখেছেন। বড় ভাইদের মাধ্যমে রাজনীতি করতে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ার চেয়েও বেশি মনযোগী হয়ে পড়ে ক্ষমতার দাপটের দিকে। কলেজেই শুধু নয়, দেশে এখন স্কুলভিত্তিক সংগঠনও রয়েছে, যেখানে সরাসরি রাজনীতি না হলেও রাজনীতির কলা কৌশল, ক্ষমতার দাপট ঠিকই দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। বাবার টাকায় মোবাইল কিনে কলেজ ছাত্রটি তার নেতার সাথে সেলফি তোলে ফেসবুকে আপলোড করে লেখে ‘আমার অভিভাবক’।
একজন ছাত্রকে নিয়ে পরিবারের অনেক স্বপ্ন থাকে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী পরিবারগুলোর সন্তানেরা রাজকীয় ভাবেই পড়ালেখা করে। কিন্তু নি¤œ আয়ের পরিবারের মেধাবী ছাত্রদের কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির মাধ্যমে একটি স্বপ্নের ডালপালা মেলতে থাকে। লেখাপড়া শেষ করে পিতা-মাতার মুখ উজ্জ্বল করাসহ দরিদ্র পরিবারটির হাল ধরার স্বপ্ন থাকে ছাত্রটির মনে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির বিষাক্ত ছোবলে অকারণে বহু মেধাবীর প্রাণ ঝরে যায়। বহু মেধাবী ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়।
একজন শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে পা রাখে। তাকে নিজ যোগ্যতায় ব্যবসা কিংবা চাকরির মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও রাজনীতি থেকে অর্থ আসবে এমন কোনো নিয়ম নেই। যারা রাজনীতি করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান, তারাই শুধু বেতনসহ আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। কাজেই আদর্শিক রাজনীতি যেখানে অর্থের যোগান দেয় না, সেখানে দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত থাকা কোনো অর্থবহ বিষয় নয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ছাত্ররাজনীতি ছিলো সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশের জন্য, ভাষার জন্য। ১৯৭১ পরবর্তী ৯০ এর স্বৈরাচার সরকার পতনের আন্দোলনেও ছাত্র সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধতার নজির পাওয়া গেছে। কিন্তু এরপরের চিত্রই ভিন্ন। ঐক্যবদ্ধতা বিনষ্ট হয়ে পরবর্তীতে ছাত্ররাজনীতি পরিণত হয়েছে নিজ নিজ দলের স্বার্থভিত্তিক। যেখানে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্রঅধিকার পরিষদ অথবা বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর এক-অপরের মধ্যে বিরোধের রাজনীতি, যার সুফলের পরিবর্তে কুফলই দৃশ্যমান বেশি।
একজন ছাত্রের মনে দেশ ও জাতির কল্যাণে রাজনীতিবিদ হওয়ার ইচ্ছা থাকলে সে তার লেখাপড়া সম্পন্ন করেও রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারেন। একজন ভালো রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য একজন ভালো মানুষ হওয়া দরকার, ভালো বক্তা হওয়া দরকার, যার জন্য দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর রাজনীতির প্রয়োজন হয় না। ছাত্র রাজনীতির ফলে লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটছে বছর জুড়ে। শুধু হত্যাকান্ডই নয়, ক্ষমতায় থাকা ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ক্ষমতার দাপট থাকে চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের হাতে ক্ষমতা না থাকলেও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য তারাও হিংস্র কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে, হত্যাকাÐের মতো ঘটনাও সংঘটিত হয় প্রায় সময়। ছাত্র রাজনীতির কতটুকু প্রয়োজন, তা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। এভাবে চললে সারাবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখাপড়ার চেয়ে বেশি অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হয়ে থাকবে, যেখানে শিক্ষার চেয়ে হাহাকার থাকবে বেশি। সময় এসেছে কঠোরভাবে এসব দমন করার ।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা সংকট রয়েছে। পঠনপাঠন, পাঠদান, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ইত্যাদিতে বড় ধরনের ব্যবধান চোখে পড়ার মতো। সারা দেশব্যাপী এই চিত্রটি একেবারেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে আছে। শিক্ষা প্রশাসনে যারা জড়িত তারা বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত। কিন্তু কোনো কালেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিরাজমান বৈষম্য, ব্যবধান, দূরত্ব, মানের সঙ্কট কমিয়ে আনা বা দূর করার তেমন কোনো বড় ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ চোখে পড়েনি। মানসম্মত শিক্ষাদান, পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টি করার মতো আবশ্যকীয় বিষয়গুলো অনেকেই অগ্রাহ্য করে চলছেন। আমরা যদি পেছনের দিকে খুব দেখার চেষ্টা করি তাহলে যে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট ধরা দেবে সেটি হলো, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে মানহীন এবং অসম মানের প্রতিষ্ঠানের কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই শিক্ষা-দীক্ষায় খুব বেশি এগোতে পারেনি। সে কারণেই সমাজে নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ, মানবিকতা, উন্নত চিন্তাধারার প্রকট অভাব সহজেই দৃশ্যমান। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে জ্ঞানবিজ্ঞানের কোনো প্রভাব কার্যকর হতে দেখা যায় না।
অন্ধবিশ্বাসে তাড়িত হচ্ছে বিরাট সংখ্যক মানুষ। সরকারি বেসরকারি যে ধরনেরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোক না কেন তাতে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষক, ল্যাব, লাইব্রেরি, খেলার মাঠ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পূরণ করা ছাত্ররাজনীতির দায়িত্ব হতে পারে। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্চশিক্ষায় গবেষণা, পাঠদান, শিক্ষার্থীদের সহপাঠক্রম, মুক্তচিন্তা ও সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করা, আসন ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি, যাতায়াত ব্যবস্থায় যানবাহন প্রাপ্তিও ছাত্ররাজনীতির উদ্দেশ্য হতে পারে। অথচ এসব অভাব পূরণ করতে কোন ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনকে উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। এজন্যই মেধা পাচার হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে বিদেশে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে বিদেশে নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে থেকে যাচ্ছে। এদেরকে দেশে রাখার পরিবেশ সৃষ্টি করাও ছাত্ররাজনীতির লক্ষ্য হতে পারে। ছাত্রদের নিয়ন্ত্রন রাখার নেতৃত্ব শিখতে পারলে রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন হবে না।
রাজনীতিমুক্ত ছিল প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালগুলো। সম্প্রতি দেশের ৩৯টি বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়েছে। তাহলে অন্যসব রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলোও কমিটি দিতে চাইবে। বলছি না ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হোক। বোঝাতে চাচ্ছি ছাত্রদের কল্যাণে ছাত্ররাজনীতি হোক। আমরা কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনকে এককভাবে দোষারুপ করবো না। সময় অনুযায়ী ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবিরসহ সব ধরণের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ উঠে। গণমাধ্যমে এদের নিয়ে খুব কম সংখ্যক ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হয়। এদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নেতিবাচক সংবাদ গণমাধ্যমে অহরহ প্রকাশ হয়। প্রায়ই দেশের কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্ররাজনীতির কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এখান থেকে পরিত্রাণ চায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
লেখক: রেজাউল করিম
মোবাইল- ০১৭১৫০৮৮২৮০
মেইল: (rezaulpress.bd@gmail.com)